সৈয়দপুরে আদালতের আদেশ অমান্য করে রেলের জমিতে অবৈধ মার্কেট নির্মানকারী ভাইজান বাহিনীর অন্যতম ক্যাডার কথিত যুবলীগ নেতা আসাদুল ইসলাম আসাদ কিছুদিন পূর্বেই প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়ে স্থানীয় সাংবাদিককে হত্যার উদ্দেশ্যে শহরের সিসিটিভি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় তার দলবল নিয়ে আক্রমন করে। স্থানীয় জনতার প্রতিরোধে সে যাত্রায় সাংবাদিক প্রাণে রক্ষা পায়। এছাড়াও সাংবাদিকের ছবিতে ফটোশপ এডিট করে জুতার মালা পরিয়ে শহরের বিভিন্ন স্থানে লাগানোসহ আইন শৃঙ্খলা ও রাষ্ট্র বিরোধী বক্তব্য দিয়ে জনগনকে উত্তেজিত করার চেষ্টাকারী, রেলের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটকে লাঞ্ছিত করাসহ একাধিক অপরাধে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা মোকদ্দমা রয়েছে। সকল ক্যাডার বাহিনীর মূল গডফাদার ভাইজান ওরফে মোকছেদুল মোমিন তিনি নিজেও সরকারী সম্পদ আত্মসাতের দায়ে অভিযুক্ত, তিনি শহরের সকল স্থানে এই সকল বাহিনী নিয়ে চলাফেরা করেন এবং কোন কারণ ছাড়াই এদের লেলিয়ে দিয়ে নানান রকম অপকর্ম করেন।
এবার তারই ধারাবাহিকতায় সৈয়দপুর বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে গত ২৮শে মে ২০২২ ইং তারিখে তারা আবারো ঘটালো তাদের ক্ষমতার অপব্যবহারের ঘটনা। প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনামতে জানা যায় ঘটনার দিন বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে সীমিত প্রবেশাধিকার থাকায় মোকছেদুল মোমিন সন্ত্রাসী আসাদুল ইসলাম আসাদসহ কিছু লোকজন নিয়ে সেখানে প্রবেশ করে। এর কিছু পরেই এই সন্ত্রাসী আসাদুল ইসলাম আসাদ আরো কিছু লোক অবৈধভাবে ভিআইপি লাউঞ্জে প্রবেশ করানোর চেষ্টা করলে বিমান বন্দর প্রশাসন ও নিরাপত্তা কর্মীরা বাধা সৃষ্টি করলে শুরু হয় বাকবিতন্ডা। ফলে আসাদুল ইসলাম আসাদ নিজে এসে বিমানবন্দরে কর্মরত গোয়েন্দা কর্মকর্তাসহ বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়ানের সদস্যদের সাথে অকথ্য ভাষায় গালাগালি শুরু করে এবং নানা ধরনের হুমকি ধামকি দিতে থাকলে পরিস্থিতি সামালের বাইরে চলে যায়। সেসময় ভিআইপি লাউঞ্জে উপস্থিত সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হাসনাত নিজে এসে পরিস্থিতি সামাল দেন।
এ ব্যাপারে একাধিক আওয়ামী নেতার অভিযোগ আসাদুল ইসলাম আসাদ পৌর বা উপজেলা কমিটির সদস্য নন তিনি শুধুমাত্র ভাইজান বাহিনীর ব্যক্তিগত ক্যাডার হিসাবে সকল রাজনৈতিক কাজে নাক গলান, তার কৃতকর্মের দায় দায়িত্ব উপজেলা বা পৌর আওয়ামীলীগ কেউই নেবে না বলে তারা জানান। তারা আরো জানান এক নেতা এই সকল কিছু গুন্ডা পান্ডা ও বিএনপি জামাত থেকে কিছু ক্যাডার নিয়ে এসে আওয়ামীলীগের পরিবেশ নষ্ট করছে। তাদের জন্য দলে ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। বিমানবন্দর রাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান, এখানকার নিরাপত্তার খাতিরে তাদের আইন সবার মেনে চলা উচিৎ অথচ এইসকল নামধারী নেতা তাদের চেহারা দেখানোর জন্য সবসময় অবৈধভাবে সবখানে তাদের প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করে এ ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার জন্ম দিয়ে বারবার দলকে বিতর্কিত এবং ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে। তাদের বিরুদ্ধে এখনই দলীয় ব্যবস্থা না নিলে তারা আরো বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা ঘটাবে বলে সবাই মনে করছেন।