সৈয়দপুরে কুখ্যাত ভূমিদস্যু ও তাদের গডফাদারের তর্জন-গর্জন উপেক্ষা করার সাহস বোধহয় এখন রেল প্রশাসনেরও নেই। রেলের জমি অবৈধ দখল ও একের পর এক বহুতল ভবন নির্মানকারীদের বিরুদ্ধে দৈনিক দাবানল পত্রিকার নীলফামারী ব্যুরো চীফ মোতালেব হোসেন হককে লাঞ্ছিত করে তারা এখন রেলের জমির একছত্র অধিপতি বনে গেছে। রেলের জমি ও সম্পদ উদ্ধারে যেসব সাংবাদিক সংবাদ করবে তাদের হাত পা ভেঙ্গে দেওয়ার হুমকি স্থানীয় রাজনীতির শীর্ষ পর্যায় থেকে দেওয়া হচ্ছে। উদ্দেশ্য একটাই রেলের জমি দখল ও স্থানীয় রেল প্রশাসনকে চাপে রাখা। কিছুদিন পূর্বে পৌরসভা কর্র্তৃক রেলের ব্যকবোন ড্রেন দখল করে মার্কেট নির্মান করায় রেলের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কর্তৃক অভিযানে তাদের উপর সুকৌশলে রাজনৈতিক গুন্ডা ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের লেলিয়ে দিয়ে তারা তাদের শক্তির জানান দিয়েছে।
তারই ফল স্বরুপ রেলওয়ে অফিসার্স কলোনী বিমান বন্দর সড়ক এলাকায় ডাকবাংলোর সাথে ৫৪৪ নং কোয়ার্টার ও তার সামনের জমি দখলে নিয়ে পাকা স্থায়ী মার্কেট নির্মাণ করছে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মহসিন মন্ডল মিঠু। তিনি ইতিপূর্বে দারুল উলুম মোড় এলাকায় একটি রেল কোয়ার্টারের সামনের জমি দখল করে মার্কেট নির্মাণ করে দিব্যি ভাড়া খাচ্ছেন। রেল প্রশাসন তখন যেমন কুখ্যাত ভূমিদস্যূ স্থানীয় আওয়ামীলীগ শীর্ষ নেতার চাপে চুপ ছিলো এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
রেলের এই দূর্বলতার সুযোগে ভূমিদসূরা রেলের কোয়ার্টার ও তার আশে পাশের খালি জমি দখল করে অবাধে মার্কেট ও বাড়িঘর নির্মাণ করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। ২০ কোটি মানুষের সম্পদ এভাবে গুটি কয়েক ভুমিদসূদের হাতে বেদখল হতে থাকবে এটি দেখার দায়িত্বে থাকা দপ্তরগুলি কেন কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করে না সেটিও জবাবদিহীতায় আনতে হবে। কারণ গুটি কয়েক দূর্নীতিগ্রস্থ কর্মচারী কর্মকর্তার অনৈতিক অর্থলিপ্সায় রেলের মহামূল্যবান জমি দখল হতে থাকবে তা হতে দেয়া যায় না।
ভূমিদস্যূদের সিন্ডিকেট এখন এতই মজবুত যে খোদ রেলের এইএন এর বাসভবনের সাথেই জমি দখল করে অবৈধ মার্কেট ও বাড়ি ঘর নির্মাণ করে চলছে। কিন্তু তারা কিছুই করে না, কারণ হয়ত তারা এখানে পোষ্টেড হন তিন বছরের জন্য তাই তারা তাদের দায়িত্ব ভুলে স্থানীয় রাজনৈতিক চাপে নতজানূ ভুমিকায় অবতির্ণ হণ। অবিলম্বে এইসব দখলবাজী বন্ধ না হলে সারাদেশে রেলসহ সকল সরকারী সম্পদ এইসকল ভূমিদস্যুদের হাতে চলে যাবে এবং তারা দখলবাজীর জমিতে ভোটব্যাংক বানাতে বানাতে সুস্থ্যধারার রাজনীতি ধ্বংস করে ফেলবে। দেশের সম্পদ রক্ষার্থে এদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার এখনই সময়।