সৈয়দপুরে রেল কারখানার ব্যাকবোন ড্রেন দখল করে সৈয়দপুর পৌরসভা কর্তৃক স্থায়ী স্থাপনা নির্মান শুরু হলে রেলের এসএসএই ওয়ার্কস, সৈয়দপুর এর কার্যালয় পৌরসভাকে রেলের নিজস্ব জমিতে নির্মিত ব্যকবোন ড্রেন দখল করে পৌরসভার মার্কেট নির্মানের কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেন। উক্ত রেলের নোটিশ অমান্য করে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ কাজ চলমান রাখায় গত ৬ই এপ্রিল দৈনিক দাবানলে সরকারী সম্পদ রক্ষার্থে পুনরায় সংবাদ প্রকাশিত হলে উক্ত কাজের ঠিকাদার ভাইজান বাহিনীর অন্যতম ক্যাডার ও তার পোষা গুন্ডা বাহিনী রেল কর্তৃপক্ষের সাথে না পেরে গত ৮ই এপ্রিল দৈনিক দাবানল পত্রিকার নীলফামারীর ব্যুরো চীফ মোতালেব হোসেনকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাকে বাজারে একা পেয়ে তার উপর অতর্কিত আক্রমন করে। মারপিটের এক পর্যায়ে স্থানীয় জনগন ও সৈয়দপুর আওয়ামীলীগ অফিসে সংবাদ গেলে সেখান থেকে নেতাকর্মীরা এসে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠান।
পরেরদিন স্থানীয় আওয়ামীলীগ এই জঘন্য কর্মকান্ডের জন্য উপজেলা আওয়ামলীগের সাধারন সম্পাদকের নের্তৃত্বে সকল স্তরের নেতাকর্মী সমর্থক একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের করে সাংবাদিকও উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা হত্যা চেষ্টাকারীদের যথাযথ বিচার দাবী করে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে গত ১০ই এপ্রিল বাজারের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে সংগৃহিত ও মামলার এজাহারকৃত আসামীদের সাথে নিয়ে হত্যা চেষ্টাকারীর মদদদাতা উপজেলা চেয়ারম্যানের নের্তৃত্বে শহরের দিনাজপুর মোড়ে পাল্টা বিক্ষোভ সমাবেশ করে। সেখানে উপস্থিত বক্তারা সাংবাদিক মোতালেব হোসেন হককে উদ্দেশ্য করে নানা রকম মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে জনগনকে উত্তেজিত করার চেষ্টা চালিয়ে জনগনকে উদ্দেশ্য করে বলেন সাংবাদিক হককে যেখানে পাবেন সেখানেই লাঞ্ছিত করবেন আমরা আপনাদের সাথে আছি। এক পর্যায়ে উপজেলা চেয়ারম্যান কুখ্যাত ভূমিদস্যু মোকছেদুল মোমিন নিজে মাইকে উক্ত সাংবাদিককে শায়েস্তা করা হবে বলে হুমকি দিয়ে বলেন এখন তো কেবল শুরু করেছি এরপর তার হাত পা ভেঙ্গে দেওয়া হবে।
সমাবেশ শেষে একাধীক আওয়ামীলীগ নেতার সাথে কথা বললে তারা বলেন অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে মোতালেব হোসেন হক উপজেলা কমিটিতে ত্রাণ ও সমাজকল্যান বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় এই উপজেলা চেয়ারম্যানের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে। তিনি তার দূর্নীতি ঢাকতে এখন তাকে দল থেকে বহিস্কারের ধুয়া তুলে নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা করছেন। দলের উপজেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হয়ে তিনি কিভাবে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার জন্য সবাইকে আহব্বান করেন সেটি সবাইকে অবাক করেছে। বেশীরভাগ নেতাই মনে করছেন তিনি রাজনৈতিকভাবে নিজের একনায়কত্ব প্রতিষ্ঠা করার জন্য তার পোষা ক্যাডার বাহিনী দিয়ে এইসব ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটাচ্ছেন। এটি দলের জন্য মারাত্বক ক্ষতি বয়ে আনবে বলে তারা একমত পোষন করেন।