রেলওয়ে কারখানা অধ্যুষিত শহর সৈয়দপুর। রেলকে সচল রাখতে রেল ওয়ার্কশপ রেলের জন্য একটি মেডিক্যাল টীম। কোন রেলকোচ থেকে শুরু করে রেলের যাবতীয় মেরামত সংস্কার রিপিয়ার সৈয়দপুর রেল ওয়ার্কশপ থেকে হয়ে থাকে। এই ওয়ার্কশপ থাকার কারণে ওয়ার্কশপটিকে বন্যার হাত থেকে সুরক্ষিত রাখতে ড্রেনেজ ব্যবস্থার সংস্কার করে বৃটিশ সরকার। পানি নিস্কাশনের জন্য ড্রেনগুলি রেলের নিজস্ব সম্পত্তিতে তৈরী করা হয়েছে। রেলের সকল সম্পদ জমি জায়গা একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট চক্র রেলকে ধ্বংস করার কাজে ব্যস্ত। কারখানা ধ্বংস করতে পারলে তারা রেলের অবশিষ্ট জমি জায়গা ড্রেন দখল বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিবে। এই সিন্ডিকেটের মূল হোতা সরকার দলীয় উপজেলা চেয়ারম্যান কুখ্যাত ভূমিদস্যু মোকছেদুল মোমিন।
সাবেক পৌর মেয়র আমজাদ হোসেন সরকার এর সময় থেকে শুরু হয় রেল ধ্বংসের কার্যক্রম। সিন্ডিকেট চক্রের মধ্যে সাবেক পৌর মেয়র মৃত্যুবরন করলে বর্তমান সরকার দলীয় পৌর মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বেবী ও কয়েকজন কাউন্সিলরও এই ভ’মিদস্যু সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত। তাদের মধ্যে অন্যতম রেলের ডোবা কাল ভরাট করে বিক্রিকারী কাউন্সিলর জোবায়দুর রহমান নঁওগা শাহীন ওরফে ভাটিয়া শাহীন, বিএনপির সদস্য সচিব কাউন্সিলর শাহীন আকতার, সাবেক ছাত্রদল নেতা ও কাউন্সিলর এরশাদ হোসেন পাপ্পু, রাজাকার পুত্র দিল নেওয়াজ খান, জাতীয় পার্টির জয়নাল ঠিকাদার, বিউটি সাইকেল ষ্টোরের মালিক আলতাব হোসেনসহ অনেকে। এদের সবারই টার্গেট রেলের জমি দখল করে তার উপর বহুতল ভবন, মার্কেট ও অন্যান্য স্থাপনা নির্মান করে চড়া মূল্যে বিক্রি করা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক রেলের কর্মকর্তা ও আওয়ামীলীগ নেতা জানান এই সিন্ডিকেটের বস মোকছেদুল মোমিন রেল কারখানার একজন খালাসী হয়েও এতই ক্ষমতাশালী যে স্থানীয় সাবেক সংস্কুতি মন্ত্রী ও রেল কারখানার ডিএস নূর মোহাম্মদকে নিমন্ত্রন পত্র দিয়ে বসিয়ে রেখে রেলের কেপিআই জমি দখল করে তার নিজ বাবার নামে স্কুল বানিয়ে রেলওয়ে কারখানার ঐতিহ্য ধ্বংস করেছেন। উক্ত শ্রমিক নেতা নিজ ক্ষমতাবলে রেলের একটি মূল্যবান ঐতিহ্যবাহী ভবন গায়েব করে দিয়েছেন। সাবেক মেয়রের সাথে তার ছিলো দহরম মহরম শুধুমাত্র রেলের জমি দখল বানিজ্য করার উদ্দেশ্যে। বর্তমান পৌরমেয়র তার পূর্বের সিন্ডিকেটের সাথে হাত মিলিয়ে রেলের ব্যকবোন ড্রেন ঢেকে দিয়ে অবৈধ মার্কেট নির্মান করে রেল মন্ত্রণালয়কে চ্যালেঞ্জ করে হুমকির মুখে ফেলছেন রেলকারখানাকে। হাতিয়ে নিচ্ছেন কোটি কোটি টাকা।
ইতিপূর্বে ৬ই মার্চ দৈনিক দাবানল পত্রিকায় রেলের ব্যকবোন ড্রেনের উপর পৌরসভা কর্তৃক অবৈধভাবে দখল করে মার্কেট নির্মান ও মালামাল লুট শিরোনামে সংবাদ পরিবেশিত হলে এএসএই/ওয়ার্কস এর কার্যালয় বাংলাদেশ রেলওয়ে সৈয়দপুর, শরিফুল ইসলাম কর্তৃক স্বারক নং-কিওসি/১-৬৩ তারিখ ০২/০৩/২০২২ স্বাক্ষরিত চিঠি মারফত কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেন। কিন্তু রেলের নিষেধ অমান্য করে নির্মান কাজ বীরদর্পে চলমান থাকায় হুমকির মুখে রেল কারখানাসহ রেলের মূল্যবান জমি ও স্থাপনা।
এব্যাপারে রেলের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ মহাপরিচালকের একান্ত সচিব জিএম রাজশাহী, ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা রাজশাহী এর সাথে কথা বললে তারা বলেন এটির সম্পূর্ণ দেখাশোনার দায়িত্ব কারখানার ডিএস এর কার্যালয়। ডিএস এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন আমি উপরে জানিয়ে দিয়েছি বলে তিনি দায়ভার এড়িয়ে যান। আসলে মনে হচ্ছে সাবেক ডিএস নূর মোহাম্মদের মতো তিনিও সিন্ডিকেট চক্রের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন এবং হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছেন রেলওয়ে কারখানাকে বলে একাধিক সূধীজন জানান।