সৈয়দপুরের ঐতিহ্যবাহী রেল মাঠের একাংশ দখল করে অবৈধ দখলদারেরা বানিয়েছে মাইক্রো ষ্ট্যান্ড। ষ্ট্যান্ডের সাথেই ড্রাইভার ও তাদের দোসররা দেদারসে চালাচ্ছে মাদক সেবন ও জুয়ার আসর। রেলওয়ের সরকারী ১১০ নং বাসভবন সরকারী কর্মকর্তাদের জন্য বরাদ্দ থাকলেও সেটি দখল করে পিকআপ ষ্ট্যান্ড বানিয়ে সেখানে চলছে জুয়া ও মাদক সেবন ও মাদক বেচাকেনার আড্ডা। রেলওয়ের জমি, বাসা কোনটাই কোন ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে বরাদ্দ বা লীজ নাই। অথচ দীর্ঘদিন যাবৎ সরকার দলীয় কুখ্যাত ভূমিদস্যু সিন্ডিকেট এই মাঠ ও বাংলো অবৈধভাবে দখল করে রশিদের মাধ্যমে টাকা আদায় করে সরকারকে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করে চলেছেন। অথচ এই রাস্তা দিয়ে মন্ত্রী থেকে শুরু করে সচিব, রেলওয়ের ডিএস, ডাব্লু এম, এইএন, কানুনগো, আইডাব্লু এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করেন কিন্তু তারা কোনপ্রকার রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষার স্বার্থে কোনপ্রকার আইনগত ব্যবস্থা গহন করেন নাই। রেলওয়ের ভূমি দেখাশোনার দাযিত্বে থাকা আইডাব্লু অফিস সেখান থেকে মাত্র কয়েক গজ দূরে তারাও অজ্ঞাত কারণে এই অবৈধ ষ্ট্যান্ড নিয়ে কোনপ্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করে নাই।
এব্যাপারে ভূমি শাখার এক কর্মকর্তার সাথে কথা বললে তিনি বলেন যারা ভূমিদস্যু যারা এই চাঁদা তুলে খায় তারা সরকারের বড় বড় এমপি মন্ত্রী ম্যানেজ করে চলেন, তারা এতই ক্ষমতাশালী যে রেলেওয়ে কারখানার কেপিআই জমি অবৈধভাবে দখল করে ঐ নেতা তার বাবার নামে স্কুল বানিয়ে তৎকালীন সংস্কৃতি মন্ত্রীকে দিয়ে উদ্ধোধন করান। অবাক বিষয় হলো রেলওয়ের তৎকালীন বিভাগীয় তত্বাবধায়ক নূর মোহাম্মদ উক্ত অনুষ্ঠানে বসে তাদের সাথে তালে তালে হাততালি দিয়েছেন তিনিও কোনপ্রকার প্রশ্ন করেননি। আমরা তো ছোট চাকরী করি তাই আমাদের কথা বৈধ হলেও শোনার কেউ নেই।
এব্যাপারে ষ্ট্যান্ডের একজন ড্রাইভারের সাথে কথা বললে তিনি বলেন এখানে ৩০০ থেকে ৪০০ গাড়ি থাকে। প্রতি গাড়ি থেকে ১০০ টাকা করে রশিদের মাধ্যমে চাঁদা আদায় করা হয়। এই টাকা কোথায় যায় তা তিনি জানেন না। তবে তিনি ধারনা করেন এই আদায়কৃত টাকা সরকারী খাতে জমা না হয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা ও রেলওয়ের কিছু অসাধু কর্মকর্তা যোগসাজোস করে পকেটস্থ করেন বলেন তিনি জানান। অপরদিকে অফিসার্স কলোনী এলাকায় ১১০ নং বাংলো দখল করে অবৈধ পিকআপ ষ্ট্যান্ড বানিয়েছে তারা। রেললাইনের ধারে বাজার সংলগ্ন হওয়ায় তাদের কারণে শহরে প্রতিনিয়ত যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। তাদের জ্বালায় অতীষ্ঠ ট্রাফিক পুলিশ বিভাগ। নেতাদের ইন্ধন থাকায় তারাও এইসব অনিয়মের বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যবস্থা নিতে পারছেন না। পৌরমেয়র এই ভূমিদস্যু সিন্ডিকেটের সদস্য হওয়ায় তিনিও চোখ বন্ধ করে আছেন।