‘প্রত্যক্ষ কর দিচ্ছি বেশ, উন্নয়নের রোল মডেল বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জাতীয় আয়কর দিবস উদযাপন করেছে কর অঞ্চল রংপুর। গতকাল মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) স্বাস্থ্যবিধি মেনে নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে দিবসটি পালিত হয়েছে। সকাল সাড়ে আটটায় কেক কেটে এবং বেলুন উড়িয়ে দিবসটি উদযাপনের শুভ উদ্বোধন করেন কর অঞ্চল রংপুরের কর কমিশনার আবু হান্নান দেলওয়ার হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত কর কমিশনার মঞ্জুর আলম, উপ-কর কমিশনার (সদর দপ্তর প্রশাসন) সৈয়দ নুরুল হুদা, উপ-কর কমিশনার, সদর দপ্তর (প্রায়োগিক) রাউফুর রহমান, রংপুর চেম্বারের প্রেসিডেন্ট মোস্তফা সোহরাব চৌধুরী টিটু, বাসস’র আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমূখ।
আমরা স্বাবলম্বী হবো, সকলে কর দিবো-প্রধানমন্ত্রীর এই বাণীকে প্রতিপাদ্য করে মাসব্যাপী আয়কর রিটার্ন দাখিলের শেষ দিন ছিল মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর)। গত ২৯ দিনে ৮৫ হাজার আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছে রংপুর অঞ্চলের করদাতারা। যা গত বছর ছিল ৭৮ হাজার। ২৯ দিনে অর্জিত হয়েছে ২৮ কোটি টাকা, যা গতবছর ছিল ২৩ কোটি টাকা।
কর কমিশনার আবু হান্নান দেলওয়ার হোসেন বলেন, করোনা মহামারীর প্রভাব কাটিয়ে এ বছরও স্বাস্থ্যবিধি মেনে করদাতাদের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্য করারমত। এছাড়াও কর অঞ্চল রংপুরে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলকারী করদাতাদের সংখ্যা অনেক বেশি। ২৯ দিনেই যে পরিমান আয়কর রিটার্ন দাখিল হয়েছে তাতে প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।
সরেজমিনে জানা যায়, মঙ্গলবার আয়কর রিটার্ন দাখিলের শেষ দিন। শেষ দিনে রিটার্ন দাখিলে উপচে পড়া ভীর ছিল রংপুর কর অঞ্চলটিতে। নানা শ্রেণি পেশার করদাতারা এসেছেন রিটার্ন দাখিল করতে।
করোনার কারণে গত দুই বছর থেকে আয়কর মেলা না হলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে মেলার আদলে রিটার্ন দাখিল করে অনেকটা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন করদাতারা। নানা কর্ম ব্যস্ততায় এখনো রিটার্ন দাখিল করতে না পেরে অনেকে হতাশাও প্রকাশ করেছেন। সময় বাড়ালে উপকৃত হবেন বলে করদাতাদের প্রত্যাশা।
কর অঞ্চল রংপুর সূত্রে জানা গেছে, টিআইএন ধারী সকল করদাতাদের জন্য আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক। জরিমানা ব্যতীত রিটার্ন দাখিলের সর্বশেষ সময় মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর)। তবে যারা শেষ সময়ে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে পারেননি তারা অনলাইনে আবেদন করে পরবর্তিতে রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন।