রংপুর বিভাগে করোনায় মৃত্যু শূন্যে নেমে এসেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। সবশেষ গত ১৮ জুন মৃত্যুশূন্য ছিল রংপুর বিভাগ। দীর্ঘ ৮৬ দিন পর বিভাগজুড়ে পর পর দুদিন মৃত্যুহীন পার হয়েছে।
তবে এ সময় নতুন করে আরও ৪৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। একই সঙ্গে সুস্থ হয়েছেন ২২৭ জন। শনাক্তের হার ৫ দশমিক ১৫। এর আগে সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিভাগজুড়ে শনাক্ত হয়েছিল ৪৬ জন। সেদিন শনাক্তের হার ছিল ৫ দশমিক ৪৩।
মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মোতাহারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে ৮৭৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে দিনাজপুরের ১৫, ঠাকুরগাঁওয়ের ১২, পঞ্চগড়ের ১২, রংপুরের ৫ এবং কুড়িগ্রামের একজন রয়েছেন।
গত বছরের মার্চে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত রংপুর বিভাগে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ২১৮ জন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে দিনাজপুরে। এ জেলায় সর্বোচ্চ ৩২২ জন মারা গেছেন।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে বিভাগীয় জেলা রংপুরে। জেলা হিসেবে সবচেয়ে কম ৬৩ জন মারা গেছেন গাইবান্ধায়। এ ছাড়া ঠাকুরগাঁওয়ে ২৪৬ জন, নীলফামারীতে ৮৭ জন, পঞ্চগড়ে ৭৯ জন, কুড়িগ্রামে ৬৬ জন ও লালমনিরহাটে ৬৫ জন মারা গেছেন।
এখন পর্যন্ত বিভাগে মোট ২ লাখ ৬৭ হাজার ৮৪৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫৪ হাজার ২৫১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত বিভাগে সুস্থ হয়েছেন ৫০ হাজার ৪৯১ জন।
এদিকে রংপুর বিভাগে চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩৬ লাখ ৯১ হাজার ১৮৪ জনকে করোনার ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়েছে। এ বিভাগের ৮ জেলায় প্রায় পৌনে দুই কোটি মানুষের বসবাস।
করোনা সংক্রমণ রোধে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মোতাহারুল ইসলাম বলেন, গণটিকাসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষকে টিকার আওতায় আনার ফলে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার কমেছে। আমরা সাম্প্রতিক সময়ের লকডাউনের সুফল পাচ্ছি। তবে যেভাবে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হচ্ছে, তা উদ্বেগজনক। এভাবে চলতে থাকলে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার আবারও বাড়তে পারে।