উত্তরাঞ্চলের প্রথম সংবাদপত্র, মহান মুক্তিযুদ্ধের মুখপত্র দৈনিক দাবানল এর আজ সুবর্ণজয়ন্তী (পঞ্চাশ বছরপূর্তি)। নানা প্রতিকূলতার মধ্যে পত্রিকাটি সাপ্তাহিক প্রকাশনা থেকে দৈনিকে রুপ নিয়ে দেখতে দেখতে পঞ্চাশ বছর পেরিয়েছে। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে দৈনিক দাবানল এরও পথচলার সুবর্ণজয়ন্তী। এই মাহেদ্রক্ষণ উদযাপনে অনেক পরিকল্পনা ছিল, ছিল কতশত মুখের এক সাথের হবার আয়োজন। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে অদৃশ্য করোনাভাইরাস। গতবছরের মতো এবারও সরকারি বিধিনিষেধ মেনে করোনাকালে থাকছে না বর্ষপূর্তির শুভক্ষণে কোনো আয়োজন। তবে একরাশ ভালোবাসা আর কৃতজ্ঞতা থাকছে সকল পাঠকের প্রতি। যাদের ভালোবাসার টানে দাবানল প্রকাশনা আজও অব্যাহত রয়েছে। কৃতজ্ঞতা তাদের প্রতিও যাদের হাত ধরে দাবানল এই অবস্থানে এসে পৌঁছেছে। সরকারি-বেসরকারিসহ সকল প্রতিষ্ঠানের প্রতি অতল কৃতজ্ঞতা বারবার বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের পথচলায় সহায়ক ভূমিকা রাখার জন্য। ভালোবাসা এই পত্রিকার জন্মলগ্ন থেকে যারা মেধার আলোয় আলোকিত করেছেন সংবাদজগত। পঞ্চাশ বছরের এই সাফল্যময় আগ্রযাত্রায় পাশে থাকা সকল সাংবাদিক, সংবাদকর্মী, সহযোগি, শুভাকাঙ্খীদের প্রতিও ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা। মহান সৃষ্টিকর্তার প্রতি অসীম কৃতজ্ঞতা, তার অশেষ কৃপায় পঞ্চাশ বছর আগে উত্তরাঞ্চলের মানুষের চাওয়া-পাওয়া আর প্রত্যাশা পূরণে বীরমুক্তিযোদ্ধা খন্দকার গোলাম মোস্তফা বাটুল এই পত্রিকার প্রকাশনা ও সম্পাদনা শুরু করেছিলেন। আজ উত্তরের সংবাদপত্র জগতে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার বসখ্যাত গোলাম মোস্তফা বাটুল নামের সেই মানুষটি নেই। কিন্তু বেঁচে আছে, তাঁর অমর সৃষ্টি দৈনিক দাবানল। অথচ এই দাবানলের শুরুটা ছিল নানা সংকটে ভরা। একজন বাটুলের নিরলস মেধা, পরিশ্রম ও সাহসিকতায় যেমন নামডাক ছড়িয়ে পড়ে তার সম্পাদিত প্রকাশনার। ঠিক তেমনি তিনি নিজেকে আবিষ্কার করেছেন অদ্বিতীয় হিসেবে। সুবর্ণজয়ন্তীর এই ক্ষণে দাবানল এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও প্রকাশক, সাবেক সংসদ সদস্য, বিশিষ্ট শ্রমিক নেতা ও সংগঠক প্রয়াত বীরমুক্তিযোদ্ধা খন্দকার গোলাম মোস্তফা বাটুল এর প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধা।
রণাঙ্গন থেকে দাবানল ও একজন বাটুল:
খন্দকার গোলাম মোস্তফা বাটুল। তিনি ছিলেন একাধারে সাংবাদিক। সংবাদপত্রের প্রতিষ্ঠাতা। সফল প্রতিষ্ঠাতা। তিনি কপালি মানুষও বটে। মহান মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনের সাংবাদিক ও সফল সম্পাদক। সংবাদপত্র ঘিরেই ছিল তার জীবনের রেখা। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তাঞ্চল লালমনিরহাটের পাটগ্রাম থেকে প্রকাশ হয়েছিল ‘সাপ্তাহিক রণাঙ্গন’ পত্রিকাটি। মুস্তফা করিম ছদ্মনামে পত্রিকাটির প্রকাশক ও সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন খন্দকার গোলাম মোস্তফা বাটুল। তার যাত্রা সহজ ছিল না। বিঘ্নের কাঁটায় ভরা পথ। তবুও দৃঢ় মনোবল আর প্রত্যয়ের নিষ্ঠ সাধনায় প্রায় পাঁচ দশক আলো ছড়িয়েছেন তিনি। তার নিরলস মেধা, পরিশ্রম ও সাহসিকতায় তিনি নিজেকে আবিষ্কার করেছেন অদ্বিতীয় হিসেবে। বাটুল নামেই অধিক পরিচিত এই বহু প্রতিভার অধিকারীর হাত ধরে উত্তর জনপদে সৃষ্টি হয়েছেন অনেক সাংবাদিক, কবি, লেখক, সাংস্কৃতিক অঙ্গনের তারকা। যাদের বিচরণের নেপথ্যে রয়েছে রণাঙ্গন, মহাকাল আর দাবানল পত্রিকার নাম ও অবদান। ভীষণ ডান পিটে স্বভাব, জেদ আর প্রবল স্পৃহায় ভরা ছিল খন্দকার গোলাম মোস্তফা বাটুল। সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা ছিল তারমধ্যে। একাত্তরের মুক্তি সংগ্রামে তার সম্পাদিত ‘সাপ্তাহিক রণাঙ্গন’ দেশ মাতৃকার সেবায় ও স্বাধীনতাকামী মানুষের সাহস জোগায়। ওই সময়ে তিনি জীবন বাজি রেখে পত্রিকা প্রকাশ করে যে অনুপ্রেরণা ও দুঃসাহস দেখিয়েছে তা স্বাধীনতার ইতিহাস ও সেই সময়ের মুক্তিকামী জনতার হৃদয়ে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। একাত্তর-পরবর্তী দেশ স্বাধীন হওয়ার পর রণাঙ্গন বন্ধ করে দেওয়া হলে ‘সাপ্তাহিক মহাকাল’ নামধারণ করে নিয়মিত প্রকাশিত হতে থাকে। পরবর্তীতে পাঠকের চাহিদা ও দৈনিক সংবাদপত্র প্রকাশের দায়বদ্ধতা থেকে ১৯৮১ সালের ২৭ মে মহাকাল হয়ে উঠে ‘দৈনিক দাবানল’। নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে নিয়মিত প্রকাশ হয়ে আসছে দাবানল। অনেক চড়াই-উতড়াই পেরিয়ে এখনো প্রকাশনায় অব্যহত যাত্রায় দাবানল।
জন্ম, শিক্ষা ও রাজনীতি :
১৯৪৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার বালারহাট ইউনিয়নের বুজরুক ঝালাই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন বাটুল। বাবা এলএমএফ (চিকিৎসক) ডা. মোজাম্মেল হক খন্দকার। মাতা মাজেদা বেগম। খন্দকার গোলাম মোস্তফা বাটুল বাড়ির পাশের কোনাপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিকের গণ্ডি পেরিয়ে মা-বাবার সঙ্গে রংপুরে বসবাস শুরু করেন। ভর্তি হন পার্শ্ববর্তী ঐতিহ্যবাহী কৈলাশরঞ্জন হাইস্কুলে। ১৯৬০ সালে কৈলাশরঞ্জন স্কুল থেকে মেট্রিকুলেশন পাস করে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হন কারমাইকেল কলেজে। তখন তার বাড়ন্ত যৌবন। যৌবনের শুরুতেই জড়িয়ে পড়েন নেতৃৃত্বে। জড়িয়ে পড়েন পাকিস্তানি শাসক আইয়ুব খানবিরোধী আন্দোলনে। আর ক্যাম্পাসের বাইরে ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠা করেন রংপুরের সেনপাড়ায় (বর্তমান সেনপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়) খেলাঘর আসর। আইয়ুববিরোধী আন্দোলনসহ নানা কারণে পালিয়ে থাকতে হয়েছে তাকে। ফলে উচ্চমাধ্যমিক পাস করতে তার সময় লাগে ৪ বছর। ১৯৬৪ সালে তখনকার দিনের ছাত্র ইউনিয়ন নেত্রী মতিয়া চৌধুরীর নেতৃত্বে ৩ জন কেন্দ্রীয় নেতা আসেন রংপুরে আইয়ুববিরোধী আন্দোলনে অংশ নিতে। তখন তাদের আটক করে জেলে পাঠানো হয়। সেই সময় রংপুর জেলা ছাত্রশক্তির সাধারণ সম্পাদক তিনি। এ আটকের প্রতিবাদে পুরো জেলায় হরতাল ডাক দেন বাটুল। এ কারণে তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি জেলবন্দি থাকেন ৬ মাস। পরে মুক্ত হন। ওই বছরেই কারমাইকেল কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন তিনি। কিন্তু কারমাইকেল কলেজ সরকারি হওয়ার পর আইয়ুব খানবিরোধী আন্দোলনের কারণে তাকে কারমাইকেল কলেজ দ্বাদশ শ্রেণিতে ভর্তি করতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে তিনি ভর্তি হন রংপুর সরকারি কলেজে। ১৯৬৫ থেকে ৬৬ সালে রংপুর কলেজের জিএস নির্বাচিত হন তিনি। ছাত্র অবস্থাতেই জড়িয়ে পড়েন শ্রমিক আন্দোলনে। তার নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠা করেন রংপুর-দিনাজপুর মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন। স্নাতক পাসের পর উচ্চশিক্ষায় ব্রতী না হয়ে তিনি যোগ দেন শ্রমিক সংগঠন সম্প্রসারণে। যুগপদ শ্রমিক আন্দোলনের কারণে ১৯৭০ সালে মার্শাল ল’র সময় তার ৬ মাসের জেল হয়।
স্বাধীনতা সংগ্রামে একজন বাটুল:
১৯৭১ সালের ১২ মার্চ মজদুর ফেডারেশনের ব্যানারে রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে শ্রমিক জনসভায় আনুষ্ঠনিকভাবে পাকিস্তানি পতাকা নামিয়ে সেখানে মানচিত্র খচিত স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতাযুদ্ধ শুরু করার দীপ্ত শপথ গ্রহণ করেন বাটুল। সারা দেশে স্বাধীনতার দাবিতে আন্দোলনে মুখর হয়ে উঠে মানুষ। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী অবস্থা বেগতিক দেখে ঢাকায় খাদ্যশস্য মজুতের পরিকল্পনা নিয়ে উত্তরাঞ্চল থেকে খাদ্যশস্য নিয়ে ঢাকায় মজুত করতে থাকে। এ অবৈধ কর্মকাণ্ড প্রতিহত করার ডাক দেন তৎকালীন রংপুর-দিনজাপুর মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি খন্দকার গোলাম মোস্তফা বাটুল। ২৩ মার্চ স্থানীয় তেঁতুলতলায় (বর্তমানে শাপলা চত্বর) এক শ্রমিক সভায় শ্রমিকদের খাদ্যশস্য পরিবহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন বাটুল। ফলে পরদিন থেকে খাদ্যশস্য পরিবহন বন্ধ হয়ে যায়। এতে শাসকগোষ্ঠী বাটুলের ওপর প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হন। এ অবস্থায় নিরাপত্তাহীনতার কথা চিন্তা করে ২৬ মার্চ রাতে গঙ্গাচড়ার মহিপুর হয়ে তিস্তা পাড়ি দিয়ে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে যান বাটুল। পরে সেখান থেকে ২৭ মার্চ ভারতের কুচবিহারের দিনহাটার সিতাই বন্দরে চলে যান তিনি। সেখানে গিয়ে ‘ফরওয়ার্ড ব্লক’ নামের একটি রাজনীতিক দলের শরণাপন্ন হয়ে তাদের আশ্রয় গ্রহণ করেন। ওই এলাকার ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা কমল গুহ বাংলাদেশের অন্যতম রাজনৈতিক নেতা অলি আহাদের সহপাঠী ছিলেন। কমল গুহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বাটুল সহযোগিতা কামনা করেন।
মুক্তিযুদ্ধ থেকে রণাঙ্গণ, মহাকাল ও দাবানল :
একাত্তরের ১৭ই এপ্রিল মুজিবনগরে অস্থায়ী সরকার গঠনের পর কমল গুহের পরামর্শে ছদ্মনাম ধারণ করে মুক্তিযুদ্ধের খবরাখবর ব্যাপকভাবে প্রচারে তিনি সাপ্তাহিক রণাঙ্গন প্রকাশনা শুরু করেন। তিনি হয়ে উঠলেন মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক, প্রকাশক ও সম্পাদক। ভারত সরকারের কাছ থেকে পাওয়া রিলিফের অর্ধেক বিক্রি করা অর্থ দিয়ে পত্রিকাটির প্রকাশনা ও বিলি অব্যহত রাখেন তিনি। সেই সময়ে সাপ্তাহিক রণাঙ্গন পত্রিকাতে ‘ডিসেম্বরে বাংলা মুক্ত’ শীর্ষক খবর প্রকাশ করে হলুস্থল তুলে দেন পুরো উপমহাদেশে। ওই খবর নিয়ে শুরু হয় হৈহৈ রৈরৈ। শুরু হয় নানান আলোচনা, সমালোচনা। সরকার ও বিভিন্ন মহলের জেরার মুখে পড়তে হয়। কিন্তু ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হলে বাটুল এবং রণাঙ্গন ব্যাপক প্রশংসিত হয়। আর সাপ্তাহিক রণাঙ্গনের সেই সংখ্যাটি এখন জাতীয় জাদুঘরসহ বিভিন্ন সংরক্ষণাগারে সংরক্ষিত আছে। দেশ স্বাধীনের পর শুরু হয় রণাঙ্গনের সাহসী পথচলা। কিন্তু সেই সময়কার শাসকগোষ্ঠীর তোপের মুখে পড়ে রণাঙ্গন। সরকারদলীয় সন্ত্রাসীরা অফিসে হামলা চালিয়ে সব তছনছ করে দেয়। রণাঙ্গণ বাজেয়াপ্ত করে সরকার। পরবর্তী সময়ে বিভাগীয় কমিশনার অফিসে আপিল করে ছাপাখানাটি ফেরত পেলেও রণাঙ্গণের ডিক্লারেশন ফেরত পাননি তিনি। এরপর প্রতিষ্ঠা করেন ‘সাপ্তাহিক মহাকাল’। ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত প্রকাশনা অব্যাহত থাকে ‘সাপ্তাহিক মহাকাল’ এর। পাশাপাশি ১৯৮১ সালের ২৭ মে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ‘দৈনিক দাবানল’। খন্দকার গোলাম মোস্তফা বাটুল প্রতিষ্ঠিত এ তিনটি পত্রিকায় কাজ করেছেন দেশ-বিদেশের প্রথিতযশা অনেক সাংবাদিক। চারণ সাংবাদিক মোনাজাত উদ্দিন, আমেরিকা থেকে প্রকাশিত ‘সাপ্তাহিক ঠিকানা’র সাংবাদিক আব্দুল মালেক, রংপুর থেকে প্রকাশিত দৈনিক বায়ান্নর আলোর নির্বাহী সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) মোনাব্বর হোসেন মনা, দৈনিক যুগের আলোর বার্তা সম্পাদক আবু তালেব, বিটিভির সাবেক রংপুর প্রতিনিধি আলী আশরাফ, এটিএন বাংলার মাহবুবুল ইসলাম ও কেরামত উল্লাহ বিপ্লব, ঢাকাপোস্টের মাহাবুর আলম সোহাগসহ অসংখ্য গুণী সাংবাদিক দৈনিক দাবানলের অমর সৃষ্টি। এ ছাড়াও রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলের বিদম্যান অধিকাংশ পত্রিকাও তারই হাতে গড়া সাংবাদিকদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত হয়ে আসছে।
সফল সংগঠক বাটুল:
‘দৈনিক দাবানল’ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৭৯ সালে মিঠাপুকুর থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। শুধু সাংবাদিকতা, সম্পাদনা আর রাজনীতির মধ্যেই থেমে ছিলেন না বাটুল। মিঠাপুকুর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির অন্যতম উদ্যোক্তা হিসেবে সেটি প্রতিষ্ঠা করেন। তার হাতে গড়া সংগঠন মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন এখন উত্তরাঞ্চলে সব থেকে প্রতিষ্ঠিত শক্তিশালী সংগঠন। তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ঐতিহ্যবাহী সংগঠন রংপুর খেলাঘর, শিখা সংসদসহ অসংখ্য সংগঠন। সাংবাদিকতায় অনবদ্য অবদান রাখার জন্য রংপুর পৌরসভার সিটিজেন অ্যাওয়ার্ড, রংপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের মোনাজাত উদ্দিন সাংবাদিকতা স্মৃতি পদক, কাকাশিস এর সম্মাননা স্মারকসহ বিভিন্ন সংগঠন, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে অসংখ্য পদক পেয়েছেন তিনি।
দাবানল এর বর্তমান:
অদম্য শক্তি ও চিন্তা চেতনার মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত খন্দকার গোলাম মোস্তফা বাটুল ২০২০ সালের ৩ সেপ্টেম্বর পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে পরলোক গমন করেন। তার প্রস্থানেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বিকশিত ও জাগ্রত রাখতে দৈনিক দাবানল প্রকাশনা অব্যাহত রয়েছে। এখন তার তার পরিবারসহ একঝাক সংবাদকর্মী নিরলস পরিশ্রম করেছেন। বর্তমানে প্রয়াত খন্দকার গোলাম মোস্তফা বাটুল এর স্ত্রী সাঈদা পারভীন প্রকাশক, বড় ছেলে খন্দকার মোস্তফা মোর্শেদ ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও ছোট ছেলে খন্দকার মোস্তফা সরওয়ার সম্পাদক হিসেবে দৈনিক দাবানলের দায়িত্ব পালন করছেন।
সুবর্ণজয়ন্তীতে ঘরোয়া আয়োজন :
আজ বৃহস্পতিবার ২৭ মে বাদ আসর দাবানল ভবনে পত্রিকার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে আগামী ২৭ জুন বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ ও গুণীজন সংবর্ধণা অনুষ্ঠান আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছে দাবানল সম্পাদক খন্দকার মোস্তফা সরওয়ার।