লালমনিরহাটে কয়েক দিন ধরে ঘন কুয়াশায় যেমন সূর্যের দেখা মিলছে না। তেমনি শীতবস্ত্র নিয়ে জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাদেরও দেখা মিলছে না। তবে জেলা প্রশাসক আবু জাফরকে কয়েক দিন আগে দুই দিন রাতে কিছু শীতবস্ত্র বিতরণ করতে দেখা গেলেও অধিকাংশ উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের শীতবস্ত্র বিতরণে দেখা যাচ্ছে না।
স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, যে পরিমাণ শীতবস্ত্র বরাদ্দ এসেছে প্রয়োজনের তুলনায় সংখ্যা নগণ্য।
পাশাপাশি শীতবস্ত্র বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। শীতবস্ত্র ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে বিতরণে নিয়ম থাকলেও তা করা হচ্ছে না। জনপ্রতিনিধিদের অভিযোগ, শীতার্ত মানুষজন তাদের কাছে আসছে কিন্তু তারা তাদের শীতবস্ত্র দিতে পারছে না।
হাতীবান্ধা গড্ডিমারী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল বলেন, উপজেলা থেকে শীতার্ত মানুষের তালিকা নেয়া হচ্ছে কিন্তু শীতবস্ত্র দেয়া হচ্ছে না।
ফলে শ্রমজীবী শীতার্ত মানুষজন শীতবস্ত্রের অভাবে কষ্টে জীবনযাপন করছেন।
কালীগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফেরদৌস আহম্মেদ বলেন, এ বছর তুলনামুলক শীতবস্ত্র বরাদ্দ কম। আমরা শীতবস্ত্রের চাহিদা দিয়েছে। বরাদ্দ আসলে বিতরণ হবে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, প্রতিনিয়ন আমরা সাধ্যমত শীতবস্ত্র বিতরণ করছি। শীতার্ত মানুষের প্রতি সমাজের সামর্থ্যবান ও বিত্তশালীদের সাহায্য ও সহানুভূতির হাত সম্প্রসারিত করা প্রয়োজন। পর্যাপ্ত পরিমাণে শীতবস্ত্র সরবরাহ করে সাধ্যমতো শীতার্তদের পাশে এসে দাঁড়ানো দরকার।