“হুমায়ুন কে খোলাচিঠি”
জ্যাকলিন কাব্য
“প্রিয়তমেষু”,
“আমি এবং আমরা” আমাদের তো কথা ছিল “শ্রাবণ মেঘের দিন” “এই মেঘ রোদ্র ছায়া” তে “বৃষ্টিবিলাস” হবে। একদিন বলেছিলে, ওহে “লীলাবতী” “যদিও সন্ধ্যা” নামে তবু “অপেক্ষা” করে থেকো, “ইস্টিশন” পানে চেয়ে থেকো “প্রথম প্রহর” না হলেও “চৈত্রের দ্বিতীয় দিবস” “রুপালি দ্বীপ” থেকে তোমার জন্য “আকাশ জোড়া মেঘ” নিয়ে আসব।
আমি তো সেই “গোপনকথা” গুলো “জনম জনম” ধারণ করে আজও পৃথিবীর মাঝে “সুখী মানুষ” হিসেবে বেঁচে আছি৷ জীবনের “পারাপার” এ প্রতিটি “রজনী” আমি “পাথর” হয়ে থাকি। আমার “নিশিকাব্য” বড্ড বেদনার । “মধ্যাহ্নে” “লীলুয়া বাতাস” “দরজার ওপাশে” থেকে “কিছুক্ষণ” পর পর “ভালবাসার গল্প” শোনায়৷আজকাল আমার “আয়নাঘর”, “সাজঘর” এর “মাতাল হাওয়া” তোমাকে খুব বেশি খুঁজে বেরায় ।
আমি জানি তুমি এখন “দুরে কোথাও”। “কৃষ্ণপক্ষে” “এই বসন্তে” “নক্ষত্রের রাতে” তোমার সাথে “সমুদ্রবিলাস” আর হবে না। “চলে যায় বসন্তের দিন”। তবে “ভয়” নেই, কখনো আর কারো সাথে “আজ আমি কোথাও যাব না”৷ “চাঁদের আলোয় কয়েকজন যুবক” আমাকে লোভ দেখায়। কিন্তু “তোমাদের এই নগরে” যে আমার “দ্বিতীয়জন” আসবে না। ওহে “কবি”, “মৃত্যু” তোমাকে আলাদা করতে পারিনি। তোমার “এপিটাফ” টার সামনে দাঁড়িয়ে এখনো দেখি লাশবাহী “শাদা গাড়ি” টা। “এই দিন তো দিন নয়”। জীবন তো “পদ্মপাতার জল”। এই “সাহিত্যবাসর” ছেড়ে “একদিন চলিয়া যাব” সেই “চন্দ্রকারিগর” এর কাছে৷ শুধু আজ আমার “কোথাও কেউ নেই”
ইতিঃ
“একজন মায়াবতী”